আমাদের খামার
আমাদের একটাই লক্ষ্য
আলী জাহান এগ্রো
আলী জাহান এগ্রো একটি অর্গানিক কৃষি প্রতিষ্ঠান। আমরা স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। শহরের ব্যস্ত জীবনে সবুজের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করি প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে। আমাদের কৃষিকর্মীদের রয়েছে বিশেষ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা। অর্গানিক চাষাবাদে আমরা ব্যবহার করি পরিবেশবান্ধব সকল উপকরণ বিশেষ করে জৈব সার ও ক্ষতিকর কীটনাশকমুক্ত উপাদান। আমাদের লক্ষ্য খাদ্যে পরিপূর্ণ সুষম পুষ্টিমান তৈরি এবং প্রকৃতিতে ভারসাম্য বজায় রাখা। আমাদের কৃষি উৎপাদন থেকে সরবরাহকৃত সমস্ত পণ্যে আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের ফার্মে ব্যবহার করা হয় না কোনো কেমিক্যাল কিংবা কৃত্রিম সার। আমরা বিশ্বাস করি, বিষমুক্ত ভালো খাদ্যপণ্য মানেই স্বাস্থ্যকর, ভালো ও সুস্থ জীবন। পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সচেতন ভোক্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। আমরা মনে করি, আলী জাহান এগ্রো থেকে উৎপাদিত পণ্য কোনো সহজপ্রাপ্য সাধারণ পণ্য নয়, এই অর্গানিক পণ্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য গড়ে তুলবে এক চ্যালেঞ্জিং জীবনধারা। বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় ও সুষ্ঠু পদ্ধতিতে উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত আমাদের প্রতিটি পণ্যে নিশ্চিতভাবে রয়েছে প্রকৃতির সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা ও যত্ন। আমরা স্বপ্ন দেখি, একসময় অর্গানিক খাদ্যপণ্যের বাইরে আর কোনো খাদ্যপণ্য উৎপাদন হবে না এই বাংলাদেশে।
আমাদের আত্মবিশ্বাস এই যে, নিশ্চয়ই একসময় নগরকৃষিতে অর্গানিক খাদ্যপণ্য সরবরাহের মাধ্যমে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে সমর্থ হবো আমরা। এতে বদলে যাবে পুরোনো ধ্যান-ধারণা এবং আমরা প্রতিষ্ঠা করবো এক নতুন দিগন্ত ও সমবেত ক্রেতাসাধারণের ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি।
ছাদকৃষি ও উন্মুক্ত ফার্ম দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে আলী জাহান এগ্রোর সমান দক্ষতা। আমরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করি, কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ফলন ও মান। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টিই হবে আমাদের সবচেয়ে বড়ো অর্জন। সততা, মান এবং সেবাই হবে আমাদের কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মূলনীতি। আমরা স্বপ্ন দেখি, আলী জাহান এগ্রো খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠবে গ্রাহকের ভরসার আরেক নাম।

নগর জীবনের বাস্তবতায় সবুজায়নের ভূমিকা
স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সুস্থভাবে বাঁচার এবং সুস্থ চিন্তার পরিচায়ক। আর স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃজনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কোনোই বিকল্প থাকতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে প্রয়োজন সর্বব্যাপী বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। সকলের সচেতনতায় পরিকল্পিত সবুজায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অপরাপর মহনগরীর সমান্তরালে কীভাবে ঢাকা মহানগরীকে আবাসন উপযোগী করে গড়ে তোলা যায় সেটা এখন এক বিরাট প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। কেননা, নগর জীবনের বাস্তবতায় পরিকল্পিত সবুজায়নের ভূমিকাকে কোনোভাইে অস্বীকার করা যায় না। কীভাবে সবুজায়ন ঢাকা মহনগরীর নাগরিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়টি ভাবা এখন অপরিহার্য হিসেবে দেখা দিয়েছে। ঢাকার আবাসিক পরিবেশ বর্তমানে কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত আছে, এর মধ্যে প্রকৃতির সাথে বা সবুজায়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো ভারসাম্যমূলক অবস্থা আছে কি না বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নগরজীবনের স্বস্তিতে সবুজায়ন নিয়ে কিছু কথা
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনের উৎপাদিত দূষিত বায়ুকে পরিশোধন করে অক্সিজেনে রূপান্তর করার জন্য ন্যূনতম যতগুলো গাছ থাকা প্রয়োজন তার এক দশমাংশও এ নগরীতে নেই। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে দ্রæতই আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে এখনই এ লক্ষ্যে রাস্তার ধারে, রোড আইল্যান্ডে, লেকের পাড়ে, পার্কে অজ¯্র বৃক্ষরোপণসহ ব্যক্তি পর্যায়েও সচেতনতা বাড়াতে হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বাড়ির আঙিনায় কিংবা আশপাশে স্থায়ী বৃক্ষরোপণ ছাড়াও বারান্দায়, বেলকোনিতে প্রচুর সংখ্যক টবের মধ্যে নানা ধরনের অস্থায়ী বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
এছাড়া ছাদের ওপরে টব ছাড়াও বড়ো বড়ো ড্রামের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বড়ো বড়ো বিভিন্ন ফলজবৃক্ষ ও সৌন্দর্যবর্ধন করে এমন বৃক্ষ রোপণ করতে হবে এবং এসব বৃক্ষ সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করতে হবে।